ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তুরস্কের হুমকি: কুর্দি যোদ্ধাদের মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক
আপলোড সময় : ২৫-১২-২০২৪ ০৭:৫২:৫৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৫-১২-২০২৪ ০৭:৫২:৫৬ অপরাহ্ন
তুরস্কের হুমকি: কুর্দি যোদ্ধাদের মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান সিরিয়ায় কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। সম্প্রতি, সিরিয়ার কুর্দি মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানিয়ে এরদোয়ান বলেন, ‘‘অস্ত্র সমর্পণ না করলে তাদের মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে।’’

তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরে কুর্দি ওয়াইপিজি মিলিশিয়াকে নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)-এর সম্প্রসারিত অংশ হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। পিকেকে ১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে এবং এটি তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।

এরদোয়ান তুরস্কের সংসদে বক্তব্যে বলেন, ‘‘কুর্দি যোদ্ধারা যদি অস্ত্র সমর্পণ না করে, তাহলে তাদের অস্ত্রসহ সিরিয়ার মাটিতে সমাহিত করা হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা সেই সন্ত্রাসী সংগঠনকে নির্মূল করব, যারা তুরস্ক ও কুর্দি জনগণের মধ্যে রক্তের প্রাচীর তৈরি করার চেষ্টা করছে।’’
 
সিরিয়ার কুর্দি যোদ্ধাদের প্রতি মার্কিন সমর্থন নিয়ে তুরস্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স (এসডিএফ) ওয়াইপিজিকে সমর্থন করলেও তুরস্ক বারবার ন্যাটো মিত্রদের এই সমর্থন প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।

সম্প্রতি, এসডিএফের কমান্ডার মাজলুম আবদি স্বীকার করেন যে, পিকেকে যোদ্ধারা সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করেছিল। তবে তিনি এসডিএফের সঙ্গে পিকেকের সাংগঠনিক সম্পর্ক থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
 
উত্তর সিরিয়া ও ইরাকে সাম্প্রতিক হামলায় তুরস্ক অন্তত ২১ জন ওয়াইপিজি-পিকেকে সদস্যকে হত্যা করেছে। আঙ্কারার মতে, সিরিয়ার ভবিষ্যতে এই গোষ্ঠীর কোনও স্থান নেই। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, তারা সিরিয়ার কুর্দি যোদ্ধাদের অস্তিত্ব সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।

সিরিয়ার নেতৃত্বে পরিবর্তনের ফলে কুর্দি গোষ্ঠীগুলো কিছুটা পিছু হটলেও তুরস্কের হুমকি পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।
 
সিরিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝে কুর্দি গোষ্ঠীগুলোর অস্তিত্ব এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন নিয়ে বিতর্ক আরও তীব্র হচ্ছে। তুরস্কের কঠোর অবস্থান এই অঞ্চলে ভবিষ্যৎ ক্ষমতার ভারসাম্যের ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
সূত্র: রয়টার্স।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dinajpur TV

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ